জুবিন গর্গের শেষযাত্রা- স্ত্রী, বোন, পোষ্য আর বিশ্বের চতুর্থ বৃহৎ ভিড়ের অশ্রুতে ভিজল অসম
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: অসম যেন স্তব্ধ। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ বিদায় জানানো হল জুবিন গর্গকে। তাঁর আকস্মিক মৃত্যু যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না অনুরাগীরা। ১৯ সেপ্টেম্বর, সিঙ্গাপুরে এক জলযাত্রা পরিণত হয় মৃত্যুযাত্রায়। মাত্র ৫২ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেলেন অসমের প্রিয় সন্তান জুবিন গর্গ। খবর আসতেই স্তব্ধ দেশ।

হাজারো মানুষ নেমে এসেছেন পথে, শুধু একবার প্রিয় শিল্পীর মুখখানি দেখার তাগিদে। রবিবার সকালে কফিনবন্দি হয়ে দেশে ফিরলেন জুবিন গর্গ। কাহিলপাড়ার বাড়ি থেকে শুরু করে গুয়াহাটির সারুসাজাই স্টেডিয়াম—যেখানে তাঁর মরদেহ রাখা হয়েছে, মানুষের ঢল উপচে পড়েছে। চোখের জলে মিশে যাচ্ছে শেষ শ্রদ্ধা। মঙ্গলবার শেষকৃত্যের দিন সেই জনসমুদ্র নথিভুক্ত হল লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে বিশ্বের চতুর্থ বৃহৎ জমায়েত হিসেবে। শুধু মানুষ নয়, তাঁর পোষা চারটি সারমেয়রাও শেষবারের মতো তাঁদের প্রিয় বন্ধুকে দেখতে এসেছিল।
কামারকুচির শ্মশানমাঠে ভিড় সামলাতে হিমশিম খেয়েছে প্রশাসন। কিন্তু আবেগে ভাসা মানুষকে ঠেকানো সম্ভব হয়নি। শোকস্তব্ধ স্ত্রীর হাতে ছিল বিশেষ এক আয়োজন— পান। জুবিনের প্রিয় ছিল পান, তাই শেষযাত্রায় সেই পানই উৎসর্গ করলেন গরিমা সাইকিয়া। এইটাই যেন তাঁর শেষ উপহার।সামাজিক মাধ্যমে এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই সেই দৃশ্য চোখ ভিজিয়েছে অনুরাগীদের।
গায়কের মুখাগ্নি করেন ছোট বোন পামী বড়ঠাকুর। নিঃসন্তান শিল্পীর জন্যই পরিবারের এই সিদ্ধান্ত। রবিবার কফিনবন্দি জুবিনকে চোখের দেখা দেখতে এসেছিল, তাঁর চারপেয় সঙ্গী, সারমেয়রা -ইকো, দিয়া, র্যাম্বো আর মায়া।
শেষ যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন, জুবিনের প্রিয় বন্ধু-গায়ক পাপনও। এক আবেগঘন মুহূর্তে শিল্পী পাপন এগিয়ে এলেন কফিনের কাছে। খুলে রাখলেন নিজের টুপি, বন্ধুর প্রতি অনন্য শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। সেই দৃশ্যের ভিডিও হয়ে উঠল ভাইরাল।
অসমের আকাশে বাজছিল “মায়াবিনী রাতির বুকুত”, চারপাশে স্লোগান “জয় জুবিনদা”। চোখের জলে, গানের সুরে আর অগণিত মানুষের ভালবাসায় পঞ্চভূতে বিলীন হলেন অসমের বাদশা।
