ফাইনাল ইডেনেই চাই, এমন দাবিতেই ক্রিকেটপ্রেমীদের বিক্ষোভ

0



দশটা বছর। কম কথা তো নয়। সেই থেকেই কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীরা অপেক্ষায় আরও একটা ফাইনাল দেখার। সে সুযোগ এবারেই এসেছে। এতদিন পর। কারণ একটাই, গতবার কলকাতা নাইট রাইডার্স দশবছর পর ট্রফি ঘরে এনেছিল আইপিএলের। টুর্নামেন্টের অলিখিত নিয়মই তাই, যে দল চ্যাম্পিয়ন হবে পরেরবার ফাইনাল ভেন্যু হবে সেখানেই। উদ্বোধনের পর নির্ধারিত ছিল কলকাতায় ফাইনাল।এমনকি একটা প্লে অফের ম্যাচও। কিন্তু সবই যেন তালগোল পাকিয়ে দিয়েছে প্রথমে পাহেলগাঁওতে জঙ্গিদের নৃশংস হামলা ও পরে ভারতীয় সেনাদের নিঁখুত অপারেশন সিঁদুর। থমকে গিয়েছিল আইপিএল। আবার নতুন করে শনিবার বল গড়াচ্ছে আইপিএলের। নতুন করেই সূচি হয়েছে। যেখানে গ্রুপপর্বের ভেন্যুর উল্লেখ থাকলেও জানানো হয়নি প্লে অফ বা ফাইনালের ভেন্যু। এরমধ্যেই সূত্রের খবর, বোর্ড আর নাও দিতে পারে কলকাতায় ফাইনাল। কারণ, ৩ জুন সেই ফাইনাল হবে। শোনা যাচ্ছে, বোর্ডের একাংশের মত সে’সময় বৃষ্টির আশঙ্কা থাকছে কলকাতায়। তাই ম্যাচ সরে যেতে পারে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। কেন এমন অমূলক আশঙ্কা তারই কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না কেউই। কারণ, খোদ দিল্লির মৌসম ভবন এখনও বঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়নি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরও জানিয়েছে, ৩ জুন নয়, তারওপরে অফিসিয়ালভাবে বর্ষার আগমন হবে কলকাতায়। তাহলে কি অন্য কোনও অভিসন্ধি। এমন কিছু ঘটতে পারে এই আশঙ্কায় বিসিসিসআইকে চিঠিও পাঠিয়েছেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু বোর্ড এখনও ভেন্যুর কথা জানায়নি। ক্রিকেটপ্রেমীরা অবশ্য উৎকণ্ঠায় থাকতে নারাজ। শুক্রবারই তারা একজোট হয়েছেন। ইডেনের সামনে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে শুরু করে দিয়েছেন বিক্ষোভ। তাতে যদি টনক নড়ে বিসিসিআইয়ের। প্রাপ্য ম্যাচ দেখা থেকে কিছুতেই বঞ্চিত হতে রাজি নয় কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীরা। সিএবি সূত্রেও জানা গেছে, তারা ফাইনাল করার ব্যাপারে সমস্তরকম ব্যবস্থা করেই রেখেছে। তাতে অসুবিধে হওয়ার কথাও নয়। তবু দোলাচল কাটছে না। সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত রিপোর্ট নিয়ে বোর্ডে পাঠিয়েছি। তবে এখনও কোনও জবাব পাইনি। আমরা হাল ছাড়ছি না। আইপিএল ফাইনাল তো বারবার হয় না। ১০ বছর পর আমরা আইপিএল ফাইনাল আয়োজনের সুযোগ পেয়েছি। বৃষ্টি যদি হয়ও, ম্যাচ করার মতো পরিকাঠামো সিএবি-র রয়েছে।’

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *