অনেকে বলতেন এত পরিচিতি পেয়েছি, মাধ্যমিকটাও উতরাতে পারব না: দিতিপ্রিয়া
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: বিনিদ্র রাত্রি যাপন, একই সঙ্গে শুটিংয়ের পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া, সবটাই যেন নিপুণভাবে সামলেছেন পর্দার ‘রানি রাসমণি’। অবশেষে স্বস্তি। নিজের মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পূর্ণ করলেন অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়। সমাজমাধ্যমে নিজেই জানিয়েছেন সুখবর। কেমন এই অনুভূতি? আডিশনকে অভিনেত্রী ফোনে বলেন, “আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমি মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পূর্ণ করলাম। যদিও এখনও ফলাফল ঘোষণা হয়নি। তাই রেজাল্ট না বেরোনো পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। কিন্তু খুবই ভাল লাগছে।”
বাড়ির সকলের কাছ থেকে কতটা শুভেচ্ছা পাচ্ছেন দিতিপ্রিয়া? তিনি বলেন, “বাড়ির সকলে তো খুশি অবশ্যই। মা-বাবা বলেছিলেন, ‘গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রিটা পেয়ে যা, আর কিছু বলব না।’ এখন দেখতে দেখতে মাস্টার্সটাও সম্পূর্ণ করে ফেললাম। ভাবছি আরও পড়াশোনা করব। মা-তো অনুমতি দিয়েই দিয়েছেন। বলেছেন, ‘যতদূর ইচ্ছে পড়। আমার যেটা ইচ্ছে ছিল, সেটা পূরণ হয়ে গিয়েছে।” অভিনয়ের পেশা তো রয়েছেই, পড়াশোনারর দিক থেকে এবার কী নিয়ে এগোনোর ইচ্ছে? অভিনেত্রী বলেন, “নেটের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ওটা দেওয়ার চেষ্টা করব।”
খুবই অল্প বয়স থেকেই টিভির পর্দায় জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠেছেন দিতিপ্রিয়া। এক সময়ে ‘রানি রাসমণি’ অন্যতম জনপ্রিয় মেগা। এই কারণেও একাধিক বিরূপ মন্তব্য শুনতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। তিনি বলেন, “অনেকে বলেছিলেন খুব কম বয়সে পরিচিতি পেয়েছি, বোধহয় মাধ্যমিকের গণ্ডিটাও পেরোতে পারব না। অনেকে আমার মনোবল ভেঙে দিতেন।” এটাই কি তাহলে দিতিপ্রিয়ার ‘যোগ্য জবাব’?

নায়িকার কথায়, “যোগ্য জবাব কি না জানি না, এই সমালোচনাটা ছিল বলেই আমি এগোতে পেরেছি। আমি একটানা আমার গ্র্যাজুয়েশন, মাস্টার্স শেষ করেছি। মাঝে কোনও গ্যাপ ছিল না। তাঁরা এই ধরনের মন্তব্য না করলে হয় তো আমার মধ্যে করে দেখানোর মনোভাবটা জাগত না। সবকিছুকেই ভালভাবে নিতে হবে।’
এত ব্যস্ত সময়সূচীর মধ্যেও কী ভাবে পড়াশোনা সামলেছেন দিতিপ্রিয়া? তিনি বলেন, “শেষ ১৫-১৬ দিন ধরে আমার ইউনিটের সকলে দেখেছেন, প্রতিটা শট দেওয়ার পরেই ল্যাপটপ, ফোন নিয়ে বসে যেতাম। শুটিংয়ের মধ্যে ফাঁক পেলেই পড়া শুরু করতাম। সকাল থেকে শুটিং, সারারাত জাগা। হাজার হাজার ফাইল, ডকুমেন্টের সঙ্গেই আমার জীবন কেটে গিয়েছে। মনে হয় সাত-আট দিন বাদে কাল রাতে ভাল করে ঘুমিয়েছি।”