পাঁচ মাস পর জামিন পেলেও সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে নিয়ে থাকছে আশা-আশঙ্কার দোলাচল

মুখ পুড়ল মহম্মদ ইউনূসের! রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেফতারির পাঁচ মাস পরে অবশেষে জামিন পেলেন সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ দাস তথা চিন্ময় প্রভু। জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশের পুলিশ। যা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে ওপার বাংলা। রেশ পড়ে কলকাতা সহ গোটা ভারতেও। ভারত সরকারের তরফেও কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল। চিন্ময় প্রভুর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ ছিল। দেশদ্রোহিতার অভিযোগে তাঁকে বাংলাদেশের পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। তারপর থেকে বিনা বিচারে তাঁকে জেলে বন্দি রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। একাধিক বার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল হাইকোর্টে। অবশেষে বাংলাদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি আতোয়ার রহমান খান এবং বিচারপতি আলি রেজার বেঞ্চ তাঁর জামিনের আর্জি মঞ্জুর করেছে। যা ইউনুস সরকারের কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার এবং সংখ্যালঘুদের রক্ষা নিয়ে এই জামিন প্রাপ্তির ঘটনা একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। যদিও একাংশের ধারণা, হাইকোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে মামলাও করতে পারে ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। যদিও তার সত্যতা জানা যায়নি।তা সত্যি হলে হিন্দু নেতার আইনি জটিলতা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কাও রয়েছে। এমনিতেও কবে জেল থেকে ছাড়া হবে তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। কারণ, বাংলাদেশে পরপর কয়েকদিন ছুটির দিন রয়েছে। যদিও অনুগামীরা বুধবারই মুক্তির সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছেন।বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচারের মাত্রা বহু গুণ বেড়ে যায়৷ হিন্দুদের বাড়িঘর-মন্দির ভাঙচুর, আগুন লাগিয়ে দেওয়া, এমনকী হিন্দুদের নির্বিচারে হত্যা শুরু হয়। যার প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। গত ২৫ নভেম্বর ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর গ্রেফতারির পর ২৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে তাঁর পক্ষে সমর্থন জানাতে গিয়ে আইনজীবীসহ উপস্থিতদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে৷ এই সংঘর্ষে মৃত্যু হয় এক আইনজীবীর৷আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া।