বাগানে ট্রফির বন্যা, নববর্ষের আগেই আবার নতুন ট্রফি, নজির গড়ল জুনিয়ররাও

ট্রফি যেন উপচে পড়ছে মোহনবাগানে। একদিকে হকি, অন্যদিকে ফুটবলে বড়দের জোড়া আইএসএল ট্রফি জয়, আবার ছোটদেরও লিগ জয়। নববর্ষের আগেই আনন্দ বাড়িয়ে দিল সবুজ মেরুন ছোটরা। রিলায়েন্স ইউথ ডেভেলপমেন্ট লিগ জিতল মোহনবাগান। সোমবার মণিপুরের ক্লাসিক এফএকে ৩-০ গোলে হারায় সবুজ মেরুন ব্রিগেড। একপেশে ম্যাচে বাগানের হয়ে ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেন শিলিগুড়ির ১৮ বছর বয়সি উইঙ্গার তামাং। গোটা ম্যাচে ৫২ শতাংশ বলের দখল ছিল মোহনবাগানের দখলে। গোলমুখে শটেও এগিয়ে ছিল তারা। আইএসএলে এক মরশুমে জোড়া ট্রফি জিতে যেমন রেকর্ড করেছে হোসে মোলিনার দল, তেমনই বাংলার প্রথম দল হিসেবে রিলায়েন্স ইউথ লিগ জেতার রেকর্ড করল জুনিয়র মোহনবাগান। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ফলে নেক্সটজেন কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল কলকাতায় প্রধান। গোল্ডেন গ্লাভস পান প্রিয়াংশ দুবে। ট্রফি জিতে খুশি মোহনবাগানের জুনিয়র দলের কোচ দেগি কার্ডোজো। অধিনায়ক অমনদীপ সিং এবং কোচ দেগি কার্ডোজোর হাতে ট্রফি তুলে দেন ব্যারেটো এবং বিবিয়ানো।

অন্যদিকে, আইএসএল কাপ জেতায় সোমবারই নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছা বার্তা এসে পৌঁছয় মোহনবাগান তাঁবুতে। আবার এই দিনই লাল হলুদ ফুলের তোড়াও এসে পৌঁছয় বাগানে। তা নিয়ে আসেন ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা। মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছা বার্তায়। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘বাংলার ক্লাব আবারও জাতীয় ফুটবল মঞ্চে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করল। মোহনবাগানের এই ঐতিহাসিক সাফল্যে গর্বিত গোটা বাংলা। আমাদের রাজ্য সরকার সবসময় খেলাধুলার বিকাশ ও পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মোহনবাগানের এই সাফল্য সেই প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন এবং একই সঙ্গে ফুটবলারদের আবেগ, নিষ্ঠা ও অগণিত মোহনবাগান সমর্থকের ভালোবাসার জ্বলন্ত প্রমাণ।মোহনবাগান ক্লাবের খেলোয়াড়, সহায়ক কর্মী, সদস্য, ম্যানেজমেন্ট এবং সমর্থকদের পাশাপাশি বাংলার অগণিত ফুটবলপ্রেমীদের জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। শতবর্ষের এই ক্লাব আগামী দিনেও সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখুক।প্রথম দল হিসেবে ঘরের মাঠে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাসে সবুজ মেরুন।