দিলীপ ঘোষের বিয়েতে আসেননি রিঙ্কুর পুত্র, বিয়ে সারতেই হানিমুনের আলোচনা

সাদা চিকনকারি পাঞ্জাবি। সঙ্গে সাদা ধুতি, মাথায় টোপর। গলায় ছিল হলুদ উত্তরীয়। সেইসঙ্গে গোলাপ ও রজনীগন্ধার মালা। এক্কেবারে খাঁটি বাঙালি সাজে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৈশাখী সন্ধেয় বিয়ে বলে কথা। ৬১ বছর বয়সে এসে জীবনের ইনিংস শুরু করলেন দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার গোধূলি লগ্নে বিয়ে সারলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। পাত্রী রিঙ্কু মজুমদার। শুধু রেজিস্ট্রি নয়, একেবারে হিন্দু রীতি মেনেই সাত পাকে বাঁধা পড়লেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। নিউটাউনে দিলীপের বাড়িতেই বসেছিল বিয়ের আসর। একেবারে সাবেকি সাজে লাল বেনারসী পরে সেজেছিলেন দিলীপের কনে। সঙ্গে মানানসই সোনার গয়না।মাথায় ছিল চোলি এবং ছোট্ট মুকুট। কপালে লাল টিপ এবং লম্বা টিকলি। বিয়েতে অতিথির সংখ্যা একেবারে নামমাত্র। শুধুমাত্র নিকটাত্মীয়েরাই। বাঙালি রীতিতেই বিয়ের ভোজ। রয়েছে আমিষ পদ। তবে মাংস নয়, মাছ ছিল অতিথিদের পাতে। তবে রিঙ্কুর পুত্রসন্তান আসেননি। জানা যায়, শহরের বাইরে থাকায় রিঙ্কু মজুমদারের পুত্র সৃঞ্জয় অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি।
রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতার বিয়ে ঘিরে উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। দিলীপ ঘোষের এই বিশেষ দিনে শুভেচ্ছার বন্যা বইছে রাজনৈতিক মহলে। সকাল থেকেই বিভিন্ন সময়ে দিলীপ ঘোষের বাড়িতে হাজির হয়েছেন সুকান্ত, শমিক-সহ রাজ্য বিজেপির একাধিক নেতা। শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নব দম্পতি। বিয়ের পর সকলের আর্শীবাদ চায় নবদম্পতি। নববধূকে পাশে নিয়ে দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দেন, আগামী দিনে দল যে দায়িত্ব দেবে, তা পালন করবেন। রিঙ্কুও বলেন, বিয়ের পরেও রাজনীতিতেই থাকব। আমরা কেউ কারও কাজে হস্তক্ষেপ করব না। দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রার মধ্যেই এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলেন দিলীপ ঘোষ। রিঙ্কু জানান, এই মুহূর্তে যা গরম, তাই হিলস্টেশন যাওয়া প্রথম পছন্দ। তাই সিমলা আমাদের পছন্দ। না হলে গোয়া। এই দুটো জায়গায় ভেবে রেখেছি আমরা। আর দিলীপ বলেন, যেতে তো হবেই একবার। বিয়ের পর যেতে হয়, সেটাই নিয়ম। ওনাকে একটু সময় দিতে হবে, দুজন দুজনকে চিনে নিতে হবে।