অস্কারের ছেলেদের মরশুমের শুরুতেই চমক, ডুরান্ডের শুরুতেই ‘ফাইভ স্টার’ ইস্টবেঙ্গল

0




আনকোরা দল সাউথ ইউনাইটেড। তাতে একপেশে লড়াই করেই ডুরান্ড অভিযান শুরু করল লাল হলুদ ব্রিগেড। একেবারে পঞ্চবাণ। বেঙ্গালুরুর দলকে ঘরের মাঠে ছেলেখেলাই করল ইস্টবেঙ্গল। গোলসংখ্যা আরও বাড়লেও অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। সাউথ ইউনাইটেড এফসি’কে ৫-০ গোলে হারিয়ে দিলেন অস্কার ব্রুজোর ছেলেরা। পাঁচ গোলদাতা লালচুংনুঙ্গা, সল ক্রেসপো, বিপিন সিং, দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোস এবং নাওরেম মহেশ। এরমধ্যে প্রথমার্ধে দু’গোল আর শেষ দশ মিনিটে তিন গোল ইস্টবেঙ্গলের।
এদিন মহম্মদ রশিদকে দেখে নেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল। মাত্র কয়েকদিনের অনুশীলনে প্রাথমিক পরীক্ষার পাস প্যালেস্টাইনের মিডিও। তিন বিদেশিকে নিয়ে শুরু করার কথা থাকলেও প্রথম একাদশে দু’জনকে রাখেন লাল হলুদের স্প্যানিশ কোচ। সল ক্রেসপো এবং মহম্মদ রশিদকে রেখে দল সাজান অস্কার। পরে নামেন দিয়ামান্তাকোস। ম্যাচের ১২ মিনিটে প্রথম গোল। চুংনুঙ্গার শট ক্রসবারে লেগে গোলে ঢুকে যায়। ৩৮ মিনিটে দ্বিতীয় গোল আসে স্পট কিক থেকে সল ক্রেসপোর গোলে। এদিনই ২৯ বছরে পা দিয়েছেন লাল হলুদের এই স্প্যানিশ তারকা। জন্মদিনেই গোল পেলেন তিনি। প্রথমার্ধে দু’গোলে বিরতিতে গেলেও, অন্তত পাঁচ গোল হতে পারত। দ্বিতীয়ার্ধে শেষ ১০ মিনিট আবার খেলার রঙ বদলে দেয় দিয়ামান্তাকোস। ম্যাচের ৮০ মিনিটে দিয়ামান্তাকোসের পাস থেকে ৩-০ করেন বিপিন। লাল হলুদ জার্সিতে অভিষেকেই গোল পেলেন তারকা ফুটবলার। ম্যাচের ৯০ মিনিটে তাঁর পাস থেকেই দূরপাল্লার শটে গোল করেন মহেশ। আর শেষ পেরেকটি তার দু’মিনিট পুঁতে দেন দিয়ামান্তাকোস নিজেই। গোটা ম্যাচে জয় স্বস্তি এনে দিলেও, পিভি বিষ্ণুর চোট চিন্তা বাড়াল। খুব কম দিনের প্রস্তুতি নিয়ে এবার ডুরান্ডে নেমেছে ইস্টবেঙ্গল। দলে বিদেশিরা সবেমাত্র যোগ দিয়েছেন। গত কয়েক মরশুম ধরে সর্বভারতীয় ফুটবলে লাল-হলুদের সেরকম সাফল্য নেই। কিন্তু আজ ইস্টবেঙ্গল যা খেলল তা যদি পরবর্তীতেও বজায় রাখতে পারে, তবে স্বপ্ন দেখতেই পারেন পদ্মা পাড়ের ক্লাবের সমর্থকরা।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *