প্লে অফের দৌড়ে চলছে ‘টাগ অফ ওয়ার’, কতটা সুযোগ কেকেআরের?

প্লে অফের দৌড়ে টানটান উত্তেজনা। চলছে সাপলুডোর অঙ্ক। এর আগে কবে এতটা উত্তেজনা ছড়িয়েছিল তা অনেকেরই মনে নেই। আপাতত আইপিএলে এখনও পর্যন্ত ৫৪টি ম্যাচ খেলা হয়েছে। প্লে অফে ওঠার জন্য এখন লড়াই করছে সাতটি দল। এরমধ্যেই প্লে অফের দৌড় থেকে বিদায় নিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস, রাজস্থান রয়্যালস । মূল লড়াইয়ে দিল্লি, কলকাতা, লখনউ। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর প্লে অফ নিশ্চিত। বর্তমানে ১৬ পয়েন্টে রয়েছে কোহলির দল। বাকি তিন ম্যাচের মধ্যে একটি জিতলেই কোয়ালিফাই করে যাবে তারা। বাকি তিনটি স্থানের জন্য সাতটি দলের মধ্যে লড়াই চলছে। কেকেআর এরমধ্যে ১১ ম্যাচ থেকে ঝুলিতে ১১ পয়েন্ট পুরে নিয়ে প্লে অফের দৌড়ে এখনও আশা জিইয়ে রেখেছে। বাকি তিন ম্যাচই তাদের জিততে হবে সরাসরি। তবেই নিশ্চিত হবে কোনও সমীকরণ ছাড়াই। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এইমুহূর্তে পাঞ্জাব কিংস। ২০১৪ সালের পর প্রথমবার এত ভাল পরিস্থিতিতে প্রীতি জিন্টার দল। ১১ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট।আর মাত্র তিন পয়েন্ট পেলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে প্লে-অফ। হাতে রয়েছে তিনটি ম্যাচ। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স রয়েছে তৃতীয় স্থানে। পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নদের বাকি ম্যাচগুলির মধ্যে অন্তত দুটি জিততেই হবে। তবে মুম্বইয়ের কাছে প্রথম দুইয়ে শেষ করার সুযোগ রয়েছে যদি তারা বাকি সবকটি ম্যাচ জিততে পারে। লিগ তালিকায় চার নম্বরে রয়েছে শুভমন গিলের গুজরাট টাইটান্স। গুজরাটের সমীকরণটা সোজাই। প্লে-অফে উঠতে হলে বাকি চার ম্যাচের মধ্যে দুটো জিততেই হবে তাদের। সবকটি জিততে পারলে প্রথম দুইয়ে ওঠার সুযোগ রয়েছে। দিল্লি শুরুটা ভাল করলেও যত দিন এগিয়েছে, তত চাপে পড়েছে। এখন যা অবস্থা তাতে শেষ চার ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই জিততে হবে দিল্লিকে। অক্ষর প্যাটেলদের ১০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১২। খারাপ ফর্মে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার দল ক্রমশ চাপে পড়েছে। সাত নম্বরে থাকা ঋষভদের ১১ ম্যাচে পয়েন্ট ১০। বাকি তিনটি ম্যাচের তিনটিতে জিতলে প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকবে দিল্লি। খাতায় কলমে টিঁকে থাকলেও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের আশা প্রায় নেই। কারণ বাকি চার ম্যাচের মধ্যে সবকটি জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ১৪। তারপরেও তাকিয়ে থাকবে নেট রান রেট এবং অন্য দলের দিকে। যা পরিস্থিতি তাতে একাধিক দল ১৪ ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলবে।