অনিল চট্টোপাধ্যায়ের বদলে রাহুলকে ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’! শিল্পীর প্রয়াণ দিবসে ‘বিভ্রান্তি’ নিয়ে কী বললেন আডিশনকে?
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: ক্যালেন্ডার বলছে, আজ কিংবদন্তির প্রয়াণ দিবস। স্বাভাবিকভাবেই সমাজমাধ্যমে তাঁকে ঘিরে নানা লেখালিখি এবং শ্রদ্ধাঞ্জলি। কথা হচ্ছে অভিনেতা অনিল চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে। সোমবার সকালে একটি ছবি পোস্ট করলেন অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে প্রয়াণ দিবসের শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে শিল্পীকে। কিন্তু এ কি! প্রয়াত অভিনেতার জায়গায় খোদ রাহুলেরই ছবি। ক্যাপশনে লেখা, ‘২৯তম প্রয়াণ বার্ষিকীতে শ্রদ্ধার্ঘ্য’। বোঝাই যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে অনিল চট্টোপাধ্যায়ের পরিবর্তে রাহুলের ছবি ব্যবহার করে ফেলেছেন জনৈক নেট প্রতিনিধি। রাহুল ছবিটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘অনিল চট্টোপাধ্যায়ের এতটা অসম্মান কি প্রাপ্য?’
কোথায় চোখে পড়ল এমন ভুল? আডিশনের তরফ থেকে অভিনেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই বিষয়টি সবার প্রথমে নজরে আসে তাঁর বন্ধু তথা অভিনেতা, পরিচালক সৌরভ পালোধির। রাহুল বলেন, “আমাকে সৌরভ পাঠায় প্রথম এই ছবিটা। বলে, ‘দেখো তোমাকে ২৯ বছর আগেই মেরে দিয়েছে!’ যদিও আমার তাতে বিশেষ আপত্তি না থাকলেও বাড়ির বয়স্করা একটু রাগারাগি করছেন। আমার মায়ের কাছে তো আমি এখনও শিশুসম। এই ভাবে প্রয়াণ দিবসে আমার ছবি দেখে মায়ের রাগ হয়েছে।”

এই প্রসঙ্গে বলা যায়, ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘মেঘে ঢাকা তারা’ ছবিতে কিংবদন্তি অনিল চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রাহুল। তাঁর অনুমান, সেই কারণেই সার্চ ইঞ্জিনে তাঁর ছবিটি এসেছে। রাহুলের কথায়, “আমার শুধু একটাই বক্তব্য। এমন একজন অভিনেতা, যিনি কাজ করেছেন ঋত্বিক ঘটক থেকে শুরু করে সত্যজিৎ রায়, তপন সিনহার মতো তাবড় তাবড় পরিচালকদের সঙ্গে, তাঁর একটা ছবি খুঁজে পাওয়া গেল না? আমি অনিল চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি বলে আমার ছবি দেখিয়েছে। আর সেটাই পোস্ট করে দিতে হল? এত বড় মাপের একজন মানুষকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে পোস্ট করার আগে একবার জেনে নেওয়া উচিত কে অনিল চট্টোপাধ্যায় এবং কে রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়।”
এই একই বিষয় নিয়ে সৌরভ পালোধিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, আমিই পাঠিয়েছিলাম রাহুলদাকে এই ছবিটি। আমি ফেসবুকে কোনও একটা পেজে দেখেছিলাম। আমার তো খুব মজার লেগেছিল বিষয়টা। রাহুলদাও বেশ মজার ছলেই নিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “আসলে এই পোস্টারগুলো সাধারণত আজকের যুগের ছেলেমেয়েরাই বানায়। যাদের মধ্যে অনেকেই অনিল চট্টোপাধ্যায়কে চেনে না। সেই কারণে ছবিটা দেখে কিছুটা ব্যঙ্গের ছলেই ভাল লেগেছিল।”