ছবির কাজ শুরু দিনে এলেন না টেকনিশিয়ানরা! ফেডারেশনের অসহযোগিতায় ক্ষুব্ধ সুদেষ্ণা রায়
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, নতুন কাজে হাত দিতে গিয়েই সমস্যায় পড়েছিলেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে জয়দীপ মুখোপাধ্যায়, শ্রীজিৎ রায়। শুটিং করতে গিয়ে বাধা পেয়েছিলেন তাঁরা। আরও যেন তীব্র হয়েছিল ফেডারেশন বনাম পরিচালক গিল্ডের দন্দ্ব। কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন যে পরিচালকদের কাছে হস্তক্ষেপ করা যাবে না। কিন্তু এর পরেও একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেন পরিচালক সুদেষ্ণা রায়। তাঁর আগামী ছবির শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল ১৮ এপ্রিল থেকে। বুধবার লাইভ সম্প্রচার করে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি জানালেন, শুটিংয়ের আগের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এক এক করে সরে দাঁড়িয়েছেন টেকনিশিয়ানরা।
বুধবার উত্তর কলকাতার একটি বাড়ি থেকেই লাইভে আসেন সুদেষ্ণা। সেখানেই নির্দিষ্ট দিনে শুটিং-পূর্ববর্তী প্রস্তুতি নেওয়ার কথা ছিল এ দিন। তিনি বলেন, “আমার নতুন ছবি ‘স্বপ্ন হলেও সত্যি’র শুটিং শুরু হওয়ার কথা আগামী ১৮ তারিখ থেকে। আজ আমাদের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা ছিল। এই মুহূর্তে আমি সেই বাড়িতে দাঁড়িয়ে আছি, সেখানে শুটিং হওয়ার কথা। কিন্তু কেউ নেই এখানে। গত দু’দশক ধরে যাঁরা আমার সঙ্গে কাজ করছেন, তাঁরা আসেননি। আমার খুব পুরনো প্রোডাকশন ম্যানেজার শুটিং শুরুর ছ’দিন আগে কোনও কারণ না জানিয়েই কাজ থেকে সরে যান। তিনি আমার বহুদিনের বন্ধু। কিন্তু এমন আচমকা কেন তাঁকে সরে যেতে হল, আমি জানি না। এমনকি একইভাবে সরে যান আমার দীর্ঘদিনের পরিচিত আর্ট ডিরেক্টরও।” এখানেই শেষ নয়, তিনি জানান, একইভাবে এক এক করে সরে দাঁড়িয়েছেন তাঁর আগামী ছবির সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য কলাকুশলীও।
সুদেষ্ণা বলেন, “আজকে আমাদের সেটের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। ড্রেসিংয়ের কাজ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কিছুই শুরু করতে পারলাম না। আদালতের নির্দেশ ছিল যে আমাদের কাজে যেন বাধা না আসে। কিন্তু তার পরেও আমি বাধাপ্রাপ্ত হয়েছি।”
আরও বলেন, “আমাদের লুক সেট হয়ে গিয়েছিল। রূপটান শিল্পী থেকে শুরু করে আমাদের সহযোগীরা কাজ করেছেন, প্রোডাকশন ম্যানেজার ছিলেন। কিন্তু তাঁরা প্রথম থেকে কিছুই বলেননি। সদ্য দু’দিন আগে প্রথমে কন্ট্রোলার সরে দাঁড়ালেন, তারপর আর্ট ডিরেক্টর, আর এর পর থেকে একে একে সবাই। আমাকে তাঁরা জানিয়েছেন, কাজ করতে পারবেন না। কিন্তু কেন? কারণ খোলসা করেননি কেউই। আমি চিঠি লিখেছি, অনুরোধ জানিয়েছি। ফেডারেশনের কাছেও কলাকুশলীদের তালিকা পাঠিয়েছি। কিন্তু লাভ হয়নি। আমার পাশাপাশি আমার প্রযোজকেরও ক্ষতি হয়েছে। মানসিকভাবে খুব আঘাত পেয়েছি। আমার কী দোষ বুঝলাম না। কিছু বিষয়ে আমি প্রশ্ন করেছিলাম। সেটাই কি ভুল ছিল?”