রাজধানীতে দিল্লিকে হারিয়ে প্লে অফের অক্সিজেন পেল কেকেআর

রাজধানীতে মিলল কলকাতার অক্সিজেন। প্লে অফে যাওয়ার দৌড়ে জয়ই প্রয়োজন ছিল কেকেআরের। দিল্লিকে ১৪ রানে হারিয়ে সেই আশা জিইয়ে রাখল কলকাতা নাইট রাইডার্স। দিল্লিকে হারালেও, বাস্তবে দিল্লি বহুত দূরই এখন বলিউড বাদশার দলের। ১০ ম্যাচে এটি কলকাতার চতুর্থ জয়। একটি পরিত্যক্ত ম্যাচসহ ৯ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে রাহানের দল। প্লে অফের স্বপ্ন সফল করতে হলে বাকি সব ম্যাচই জিততে হবে কেকেআরকে। অন্যদিকে সমান ম্যাচে চতুর্থ হার দেখা অক্ষর প্যাটেলের দিল্লি ১২ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে। দিল্লির সামনে লক্ষ্য ছিল ২০৫ রানের। ৯ উইকেটে ১৯০ রানে থামে তারা। ফ্যাফ ডু প্লেসি ৪৫ বলে ৬২, অক্ষর প্যাটেল ২৩ বলে ৪৩ আর শেষদিকে ভিপরাজ নিগাম ১৯ বলে খেলেন ৩৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস। বাকি ব্যাটাররা কেউ বিশের ঘর ছুঁতে পারেননি। সুনীল নারিন ২৯ রানে ৩টি আর বরুণ চক্রবর্তী ৩৯ রানে নেন ২টি উইকেট। এর আগে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কোনো ব্যাটার অর্ধশতরানের গণ্ডি পেরোতে না পারলেও দলগতভাবে দুশো রানের গণ্ডি টপকে যায়। ৯ উইকেটে ২০৪ রান তোলে কেকেআর। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালই শুরুটা করেন কলকাতার রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং সুনীল নারিন। তিন ওভারেই তারা তুলে ফেলেন ৪৮ রান। ১২ বলে ২৬ করে ফেরেন গুরবাজ। উইকেটে এসে মেরে খেলতে শুরু করেন অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানেও। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৭৯ রান তোলে কলকাতা। তবে এরপর টানা দুই ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে বসে কলকাতা। সুনীল নারিন ফেরেন ১৬ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ২৭ করে। ১৪ বলে ২৬ আসে রাহানের ব্যাট থেকে। দুজনই হন এলবিডব্লিউ। সুবিধা করতে পারেননি ভেঙ্কটেশ আইয়ার (৭)। সেখান থেকে জুটি গড়েন অঙ্গকৃষ আর রিঙ্কু সিং। পঞ্চম উইকেটে তারা যোগ করেন ৪৬ বলে ৬১ রান। ৩২ বলে ৪৪ রানে সাজঘরে ফেরেন অঙ্গকৃষ। রিঙ্কু ফেরেন ২৫ বলে ৩৬ করে। শেষদিকে আন্দ্রে রাসেল ৯ বলে ২ চার আর ১ ছক্কায় ১৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন।