ঘরের মাঠের ম্যাচে তিন লক্ষ্য পূরণের আশায় নাইট শিবির

এক ম্যাচ, তিন মিশন নাইটদের। এক, প্লে অফের অঙ্ক টিঁকিয়ে রাখতে গেলে নাইটদের ঘরের মাঠে জেতা ছাড়া উপায় নেই। দুই, শ্রেয়স আইয়ারকে বোঝানোর সুযোগ তাঁকে ছেড়ে কোনও ভুল করেনি কেকেআর। আর তিন, চলতি মরসুমে হারের প্রতিশোধ তুলতে ঘরের মাঠে জিততেই হবে রাহানেকে। বীর-জারার লড়াইয়ের অপেক্ষায় ক্রিকেটের নন্দন কানন। প্রীতি জিন্টার পাঞ্জাব কিংসকে তাতাতে ইডেনে হাজির থাকার কথা থাকলেও, শাহরুখ খান আসবেন এমন কোনও খবর নেই। পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে নানা চর্চা কেকেআরকে ঘিরে। মঈন আলীর মুখে অবশ্য সাফ কথা, ‘মুম্বই ইন্ডিয়ান্স যদি গত ৪ ম্যাচে হারের পরে জিততে পারে আমরা পারব না কেন! কয়েকটা ম্যাচ খারাপ গিয়েছে। ভালো ব্যাটিং হয়নি। চাপ আছে। কিন্তু সেটাকে উপভোগ করেই সাফল্য পেতে হবে। আমরা আশাবাদী নক আউট নিয়ে। আমাদের ভালো খেলতে হবে। সকলেই জানে কী করতে হবে। সেইভাবেই সকলে মানসিকভাবে সকলে প্রস্তুত। আমরাও পারি’। ম্যাচটা যতটা কেকেআর বনাম পাঞ্জাব , তার থেকে অনেক বেশি কেকেআর বনাম শ্রেয়স আইয়ারের। ইডেনকে হাতের তালুর মতোই চেনেন শ্রেয়স। গতবার ১০ বছর পর কেকেআরকে আইপিএলে চ্যাম্পিয়নও করেছিলেন অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। পরিসংখ্যান বলছে শ্রেয়স কিন্তু এবার ভালো ছন্দে আছেন। এখনও পর্যন্ত চলতি আইপিএলে ৮ ম্যাচে ২৬৩ রান করেছেন, সর্বোচ্চ স্কোর অপরাজিত ৯৭। শুধু শ্রেয়স নয় একইসঙ্গে কেকেআরের বিরুদ্ধে ম্যাচে পাঞ্জাব দলের হয়ে ফোকাসে থাকবেন চাহালও। কারণ প্রথম পর্বের ম্যাচে চাহালের ঘূর্ণিতে বেসামাল হয়ে গিয়েছিল কেকেআর। ইডেনে উইকেটে থেকে একটু সাহায্য পেলেই চাহাল জ্বলে উঠতে পারেন। তবে মঈন আশার বাণী শুনিয়েছেন। বলেছেন, ‘এই নিয়ে ম্যানেজমেন্ট কথা বলেছে। তবে এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। ভালো ব্যাটসম্যান আছে। ব্যাটিং গভীরতা আছে। ব্যাটিংয়ের শক্তি হল সকলে ভালো শট খেলতে পারে। নারিনের মতো আগ্ৰাসী ব্যাটসম্যান আছে। রাহানের মতো ক্লাসিক ব্যাটার আছে। রাসেলের মতো বিধ্বংসী ব্যাটার আছে। ভেঙ্কি, রিঙ্কুর মতো ব্যাটার আছে। ওরা খুব প্রতিভাবান। সব মশলাই আছে। তাই আশাবাদী।’