হিটম্যান হিট, অরেঞ্জ আর্মিদের বিরুদ্ধে অনায়াসে জয় মুম্বইয়ের

পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় আইপিএল ম্যাচ বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু বন্ধ হয়নি খেলা। কিন্তু খেলায় সব ধরণের বিনোদন বন্ধ রাখা হল শোকের আবহে। এদিন দুই দলের ক্রিকেটাররা নামলেন কালো আর্মব্যান্ড পরে। কোনও চিয়ারলিডারের নাচ দেখা যায়নি। আতসবাজিও বন্ধ ছিল। অপ্রত্যাশিতভাবে দুই দলের অধিনায়কও টসের সময় পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করেছেন। মৃতদের পরিবারের প্রতি শোকবার্তা দিয়েছেন। এদিন টস জেতার পর মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া বলেন, ‘নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা। এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করছি। একটা পরিষ্কার বার্তা দিতে চাই, যারা এমনটা করেছে তারা কাপুরুষ।’ হার্দিকের সুর প্রতিধ্বনিত হল প্যাট কামিন্সের গলাতেও। তিনি বলেন, ‘এটা একটা হদয়বিদায়ক ঘটনা। শুধু সানরাইজার্সে খেলি বলে নয়, প্রত্যেক অস্ট্রেলিয়ানের তরফে নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই।’ এদিন অবশ্য খেলায় হিটম্যান শো ছিল উপভোগ করার মতো। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৮ উইকেটে ১৪৩ রানে থামে হায়দরাবাদ। যদিও এই রানে মুম্বইকে থামানো যায়নি। রোহিত শর্মা যে বুঝিয়ে দেন, ‘ফর্ম ইজ টেম্পোরারি, বাট ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট’।

গত ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ৭৬ রান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। এদিন হিটম্যান হিট। ৭০ রানে তিনি যখন আউট হলে, ততক্ষণে ম্যাচ এসে গিয়েছে মুম্বইয়ের হাতের মুঠোয়। রোহিতের চওড়া ব্যাটে ভর করেই ২৬ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে জিতল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এই জয়ে ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তিনে উঠে এল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ৮ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে নয়েই রইল সানরাইজার্স। রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে ১৩ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। রায়ান রিকেলটন ৮ বলে ১১ রান করে ফেরেন। উইল জ্যাকস ১৯ বলে ২২ রানে ফেরেন। কিন্তু রোহিত অনবদ্য। রোহিত শর্মা টানা দ্বিতীয় ম্যাচে অর্ধশতরান হাঁকালেন। রোহিত এদিন করলেন ৪৬ বলে ৭০। আটটি চার ও তিনটি ছয় মেরেছেন তিনি। ১৪.৪ ওভারে দলের ১৩০ রানের মাথায় রোহিত আউট হন। সূর্যকুমার যাদব ১৯ বলে ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন। পাঁচটি চার ও ২টি ছয় মেরেছেন তিনি। তিলক বর্মা ২ বলে ২ রানে অপরাজিত থাকেন। এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দুই ওপেনারই ব্যর্থ হন। ট্রাভিস হেড ফেরেন শূন্য হাতে। অভিষেক শর্মা ফেরেন ৮ রানে। ঈশান কিষাণ ১ রান করে ফেরেন। নীতিশ কুমার রেড্ডি করেন ২ রান। তবে এখান থেকেই খেলার রঙ পাল্টাতে চেষ্টা করেন হেনরিক ক্লাসেন। অবিনব মনোহরকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান। শেষপর্যন্ত ৭১ রানে ফেরেন ক্লাসেন। মনোহর করেন ৪৩ রান। যদিও চ্যালেঞ্জ ছোড়ার মত রান ওঠেনি অরেঞ্জ আর্মিদের।