‘বকেয়া থাকলে ছবি ছাড়পত্র পেত না, গিল্ডের মুখোমুখি বসুন’, মধুবন্তীকে চ্যালেঞ্জ অরিন্দমের!
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: এক সপ্তাহ হয়নি মুক্তি পেয়েছে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এবং বিক্রম চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ‘দুর্গাপুর জংশন’। এরই মধ্যে ছবিকে ঘিরে শুরু বিতর্ক। আর তার কেন্দ্রে রয়েছেন ছবির পরিচালক অরিন্দম ভট্টাচার্য। তাঁর বিরুদ্ধে বকেয়া না মেটানোর অভিযোগ জানিয়েছেন ছবির সহকারী পরিচালক মধুবন্তী মুখোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গেই প্রতিবাদের সুর চড়িয়েছেন স্বস্তিকা। তাঁর দাবি, পরিচালকের ভূমিকা নাকি যথাযথভাবে পালনই পরেননি অরিন্দম। বরং, চিত্রনাট্য থেকে শুরু করে সংলাপ, সবটাই সামাল দিয়েছেন ছবির অভিনেতা-অভিনেত্রীরাই। বিতর্ক বাড়তেই মুখ খুললেন খোদ অরিন্দম।
এ দিন, আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে সব অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “২০১৬ সাল থেকে ড্রিমলাইনার এন্টারটেইনমেন্ট ছবি বানাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত পাঁচটি পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি, একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি এবং আরও অনেক তথ্যচিত্র বানানো হয়েছে। কখনও কোনও শিল্পীর পাওনা বাকি থাকেনি। এমনকি ‘দুর্গাপুর জংশন’ ছবির পরেও সকলের পারিশ্রমিক মেটানো হয়েছে।”
পরিচালকের মতে, “সমস্ত কলাকুশলী, অভিনেতা এবং স্টুডিয়োর অর্থ শোধ করার পরেই সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র মেলে। ‘দুর্গাপুর জংশন’ সেই ছাড়পত্র পেয়েছে। বকেয়া না মেটালে এই ছাড়পত্র পাওয়া সম্ভব নয়।”
পাশাপাশি, প্রোডাকশন ম্যানেজার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর্স গিল্ডের সরাসরি হস্তক্ষেপে এই পারিশ্রমিক শোধের বিষয়টি মিটে গিয়েছে ২০২৪ সালেই। এত বছর পর হঠাৎ কেন এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হচ্ছে, তাতে কিছুটা অবাক অরিন্দম। সরাসরি মধুবন্তীকে প্রযোজনা সংস্থা এবং গিল্ডের সঙ্গে আলোচনায় বসার অনুরোধ জানিয়েছেন পরিচালক।