‘পরিচালকের কাজে হস্তক্ষেপ নয় ফেডারেশনের’, হাইকোর্টের নির্দেশ নিয়ে কী বললেন সুদেষ্ণা রায়?
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: ফের নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে পরিচালক গিল্ড এবং ফেডারেশনের দন্দ্ব। গত বছরের জুলাই থেকেই টলিগঞ্জের স্টুডিয়ো পাড়ায় কলাকুশলীদের সংগঠন এবং পরিচালক-প্রযোজক-অভিনেতাদের একাংশের মতবিরোধ তীব্র হয়ে ওঠে। শুটিং বন্ধ। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সরকারি কমিটি গঠন হলেও কোনও সুরাহা হয়নি। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হন বিদুলা ভট্টাচার্য। পরবর্তীকালে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরীর মতো পরিচালকদের দ্বারা পৃথকভাবে দায়ের হয় পিটিশন। গত বৃহস্পতিবার সেই মামলাগুলিরই শুনানি হল কলকাতা হাইকোর্টে।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পরিচালকদের পেশা এবং তাঁদের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকতে হবে ফেডারেশনকে। অন্যদিকে, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সচিব, ফেডারেশনের কোনও ভূমিকা ছাড়াই চলচ্চিত্র পরিচালকদের জন্য স্বাস্থ্য বীমা ইস্যুর জন্য আবেদন নিষ্পত্তি করবেন। এক্ষেত্রে ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের কোনও ভূমিকা থাকবে না।

পরিচালকদের সংগঠনের অভিযোগ ছিল, ফেডারেশন ইউনিক আইডি না–দেওয়ায় পরিচালকরা কাজ করতে পারছেন না। হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, ইউনিক কার্ড না থাকলেও পরিচালকদের কাজ করার অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে না। কারণ, ফেডারেশনের আইনজীবী আদালতে নিজেই স্বীকার করেছেন যে তাঁদের তৈরি করা ‘কোড অব কন্ডাক্ট’ ২০১২ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত বলবৎ ছিল। কিন্তু তারপরে নয়। অর্থাৎ টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে ফেডারেশনের তৈরি করা কোনও ‘কোড অব কন্ডাক্ট’ এবং তার ভিত্তিতে তৈরি ইউনিক কার্ড, কোনওটাই বৈধ নয়।

আদালত আরও জানায়, চলচ্চিত্র পরিচালকদের পেশাগত অধিকারে বাধাদানকারী ফেডারেশনের বিরুদ্ধে অভিযোগের নিষ্পত্তি তথ্য এবং সংস্কৃতি বিভাগের সচিব করবেন। ১৯ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ৫ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারকে সিদ্ধান্ত নিয়ে ওই দিনেই জমা দিতে হবে হাইকোর্টে।
রায় ঘোষণার পর কী ভাবছে পরিচালক গিল্ড? তাঁদের পরবর্তী পদক্ষেপই বা কী হবে? উত্তর জানতে সরাসরি যোগাযোগ করা হয়েছিল গিল্ডের সম্পাদক সুদেষ্ণা রায়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, “পদক্ষেপ নিয়ে এখনও কিছু বলা যাবে না। কোর্ট যা নির্দেশ দিয়েছে, আমরা তাই মেনেই এগোবো।”