ইস্পাতনগরীতে খেলার মাঝেই পুলিশের লাঠিচার্জ, সবুজ মেরুন সমর্থকের ফাটল মাথা

0

খেলার আনন্দ কোথায়? কোথায় স্পোর্টিং স্পিরিট? কোথায় প্রতিপক্ষকে সম্মান? আইএসএলের খেলায় দেখা গেল পুলিশের উদ্দাম লাঠিপেটা! ইস্পাতনগরীতে আক্রান্ত ও আহত সবুজ মেরুন সমর্থকরা।  সমর্থকদের ওপর লাঠিপেটার অভিযোগ তুলল মোহনবাগান। ঘটনার সূত্রপাত জামশেদপুরের বিরুদ্ধে জেসন কামিংসের গোলের পরই। ড্র হতেই সেলিব্রেট করতে থাকেন বাগান সমর্থকরা। সেটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু অভিযোগ, এরপরই বাগান সমর্থকদের ওপর চড়াও হয় গ্যালারিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ। মাঠে দু দলের সমর্থকদের ঝামেলা প্রায়শই দেখা যায়। কিন্তু অ্যাওয়ে দলের সমর্থকদের ওপর পুলিশের আক্রোশ ব্যতিক্রম। ৩-৪ জন মোহনবাগান সমর্থক গুরুতর জখম হয়। একজনের মাথা ফেটে গিয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ।

হাসপাতালে আক্রান্ত সমর্থককে দেখতে যান
মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। বৃহস্পতিবার আইএসএলের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের প্রথম লেগে জাভি হার্নান্ডেজের শেষ মুহূর্তের গোলে তারা শিল্ডজয়ী মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে ২-১-এ হারিয়ে দেয় জামশেদপুর। মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট জেভিয়ের সিভেরিওর গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পরও কামিংসের বিশ্বমানের গোলে প্রথমার্ধেই সমতা আনে। এরপরই গ্যালারিতে উত্তেজনার শুরু হয়। দ্বিতীয়ার্ধের নির্ধারিত সময়ে মোহনবাগান তাদের আধিপত্য বজায় রাখলেও সংযুক্ত সময়ে অসাধারণ এক ক্রসে হার্নান্ডেজকে গোলের সুযোগ কার্যত সাজিয়ে দেন বঙ্গসন্তান ঋত্বিক দাস। এই গোলই জয় এনে দেয় খালিদ জামিলের দলকে। ফাইনালের পথে শুরুতেই হোঁচট খেলেও তা নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তায় নেই মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কোচ হোসে মোলিনা। 

মোলিনার আশা, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সমর্থকদের সামনে প্রয়োজনীয় ব্যবধানে জিতবেন এবং ফাইনালেও উঠবেন। তিনি বলেন, যে রকমই খেলে থাকুক আমার দল, আমি খুশি। ২০-২৫ দিন পর ম্যাচ খেলতে নেমেছিল আমার দল। সেই তুলনায় মোটেই খারাপ খেলেনি। আমি দলের পারফরম্যান্সে খুশি। যদিও দুগোল খেয়ে ভাল লাগেনি। তবে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সল্টলেকে সম্পূর্ণ অন্য খেলা দেখবেন।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *