প্রত্যাবর্তনেই গোল, সুনীল মাঠে নামতেই জয়ের সরণীতে ভারত

গ্যালারিতে লেখা, ওয়েলকাম ব্যাক। বলাই বাহুল্য, তা ছিল শুধুমাত্র সুনীল ছেত্রীর জন্য। তিনি অবসর ভেঙে এলেন, খেললেন, গোল করলেন আর দলকে জয়ের সরণীতেও নিয়ে গেলেন। শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে মালদ্বীপের বিরুদ্ধে অবশেষে জয়ের মুখ দেখলেন মানোলো মার্কেজ। মালদ্বীপের বিরুদ্ধে দাপট দেখিয়ে ৩-০ গোলে হারাল ভারত। এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের আগে প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিতে বুধবারের ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন লিস্টন কোলাসোরা। বয়স চল্লিশ ছুঁলেও তিনি যে সত্যিই ভারতের অন্যতম গোলমেশিন, তা মাঠে নেমে আরও একবার প্রমাণ করলেন বেঙ্গালুরুর স্ট্রাইকার সুনীল ছেত্রী। ২০২৪ সালের ৬ জুন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে অবসর নিয়েছিলেন তিনি।

এরপরই ভারতীয় দলে গোল করার অভাব প্রকট হয়ে ওঠে। আইএসএলে সুনীল ছেত্রীর ফর্ম দেখে তাঁকে ফের অবসর ভেঙে ফেরার কথা জানান মানোলো মার্কেজ। তিনি যে এখনও কতটা কার্যকরী তা বোঝালেন। ভারতের হয়ে অভিষেক ম্যাচে গোল করেছিলেন সুনীল। আবার অবসর ভেঙে ফেরার ম্যাচেও গোল পেলেন। এই নিয়ে ৯৫ গোল হয়ে গেল তাঁর। মনে করা হচ্ছিল, পুরো ম্যাচে হয়তো খেলবেন না সুনীল। কিন্তু ৮৩ মিনিট পর্যন্ত মাঠে ছিলেন তিনি।

মালদ্বীপের বিরুদ্ধে প্রথম গোলের দরজা খোলেন রাহুল ভেকে। ৩৪ মিনিটে তাঁর শটেই এগিয়ে যায় ভারত।প্রথমার্ধে শেষ হয় ১-০ গোলেই। দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় ম্যাচের ৬৬ মিনিটে লিস্টন কোলাসো মহেশের পাস থেকে হেডে জালে বল জড়িয়ে দেন। আর ৭৬ মিনিটে গ্যালারি আনন্দে ভাসিয়ে দেন সুনীল ছেত্রী।

লিস্টনের সেন্টার থেকে দুরন্ত হেডে সোজা গোলে বল জড়িয়ে দেন অবসর ভেঙে ফেরা কিংবদন্তি ফুটবলার। বিশ্বের ১৬২ নম্বর মালদ্বীপকে হারিয়ে জয়ে ফেরায় স্বস্তি ভারতের। তবে কাজ এখনও শেষ হয়নি। আসল লক্ষ্য ২৫ মার্চ এই স্টেডিয়ামেই এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে বাংলাদেশকে হারানো। হামজা বনাম সুনীলের লড়াই নিয়ে ফুটছে এপার-ওপার। সুনীল থাকলে সব সম্ভব বলেই বিশ্বাস ফিরে পেতে শুরু করেছেন ভারতীয় ফুটবলপ্রেমীরা।