অভিষেকের তাণ্ডবে প্রতিপক্ষদেরও কুর্নিশ, একাধিক রেকর্ড, চিরকুটেই দিলেন বার্তা
স্পোর্টস ডেস্ক: ‘দিস ওয়ান ইজ ফর দ্য অরেঞ্জ আর্মি’। হেলমেট খুলে তার ভিতর থেকে এক টুকরো কাগজ বের করে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে দেখালেন অভিষেক শর্মা। ম্যাচ যখন অভিষেক শেষ করলেন তখন দর্শকদের চোখে মুখে বিস্ময় আর বিস্ময়। অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে অভিষেক শর্মা জেতান সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে। পাঞ্জাব কিংস প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেট ২৪৫ রান করে। পাঞ্জাব অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার ৮২ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। একেবারে তাণ্ডবলীলা। পাঞ্জাবের রান তাড়া করতে নেমে অভিষেক শর্মা খেললেন ৫৫ বলে ১৪১ রানের ইনিংস। ১৯ বলে হাফসেঞ্চুরি আর মাত্র ৪০ বলে ঝোড়ো সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। এই বিধ্বংসী ইনিংসে সাজানো ছিল ১৪টি বাউন্ডারি ও ১০টি ছক্কা! রেকর্ড রান করা প্রতিপক্ষ পাঞ্জাবেরও কুর্নিশ না জানিয়ে উপায় ছিল না। ৮ উইকেটে সানরাইজার্সের জয়ে একাধিক রেকর্ডও করে ফেলেন অভিষেক। রেকর্ড হয় হায়দরাবাদেরও। দেখে নেওয়া যাক একনজরে-

মহম্মদ শামি ৪ ওভারে রান দিয়েছেন ৭৫। খরুচে স্পেলের তালিকায় এটি দ্বিতীয়। ছক্কা খেয়েছেন ৭টি। আইপিএলে এর চেয়ে বেশি ছক্কা খাওয়ার রেকর্ড শুধু যশ দয়ালের (৮টি)।
আইপিএলের ইতিহাসে তৃতীয় ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেছেন অভিষেক। শীর্ষে ক্রিস গেইল (১৭৫), দুইয়ে ব্রেন্ডন ম্যাকালাম (১৫৮)। তিনে থাকলেন অভিষেক (১৪১)। যা ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে আইপিএলে সর্বোচ্চ।

আইপিএলের ইতিহাসে রান তাড়া করার ক্ষেত্রে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে কলকাতার বিরুদ্ধে ২৬২ রান তাড়া করে জিতেছিল পাঞ্জাব কিংস। সেটাও ২০২৪। হায়দরাবাদের জয় থাকল দ্বিতীয় স্থানে।
অভিষেক শর্মা-ট্রাভিস হেড মিলে ম্যাচটিতে ১৭১ রানের জুটি গড়েন ওপেনিংয়ে নেমে। যা আইপিএলে হায়দরাবাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের ওপেনিং জুটি। এর আগে ২০১৯ আসরে জনি বেয়ারস্টো এবং ডেভিড ওয়ার্নার মিলে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষে সর্বোচ্চ ১৮৫ রানের জুটি গড়েন।
মাত্র ৪০ বলে সেঞ্চুরি করেছেন অভিষেক। যা আইপিএলে বলের হিসাবে পঞ্চম দ্রুততম। এক্ষেত্রে রাজত্বটা ক্রিস গেইলের। তিনি আইপিএলে সেঞ্চুরি করতে খেলেছেন মাত্র ৩০ বল।