শেষ ম্যাচ! ক্লে কোর্টের মাটি ছুঁয়ে ফরাসি ওপেনে বিদায়ের ইঙ্গিত জকোভিচের

0




সিনারের বিরুদ্ধে ৩ ঘণ্টা ১৬ মিনিটের লড়াই।হার মানলেন নোভাক জকোভিচ। কোর্ট ছাড়ার সময় থমকালেন। কিটব্যাগ নামিয়ে রেখে দর্শকদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়লেন। এরপর ক্লে কোর্টের মাটি ছুঁয়ে বেরিয়ে গেলেন। তাহলে কী!
এই তো কয়েকদিন আগেই বিরাট কোহলির অবসর ঘোষণায় ‘অবিশ্বাস্য ইনিংস’ বলে সমাজ মাধ্যমে ট্যুইট করেছিলেন। নাদালের বিদায়ে কান্না মুছিয়ে দিয়েছিলেন হাসিমুখে। এবার কী তাহলে তাঁর নিজের পালা? টেনিস দুনিয়া কী প্রস্তুত তাঁর মুখ থেকে অবসর-এর কথা শুনতে? কিন্তু জল্পনাটা বাড়িয়েই দিলেন যেন। আর হয়তো দেখা যাবে না তাঁকে ফ্রেঞ্চ ওপেনে। ৩৮ বছর বয়সি তারকা বলেন, ‘আমি জানি না, এটাই আমার এখানে শেষ ম্যাচ কি না। তাই শেষবেলায় একটু আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু এটাই যদি আমার শেষ ম্যাচ হয়, তাহলে শেষটা ভালোই হল। দর্শকরা এক অসাধারণ পরিবেশ তৈরি করেছিলেন। আবার এখানে ফিরতে তো চাই। কিন্তু ১২ মাস অনেকটা সময়’।
দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইয়ানিক সিনারের কাছে সরাসরি ৬-৪, ৭-৫, ৭-৬ (৭-৩) গেমে হেরে গেছেন জকোভিচ। সাম্প্রতিক সময়ে ইতালিয়ান তারকার কাছে সবচেয়ে বেশি ভুগেছেন তিনি। কেননা এই হারের আগেও শেষ তিন ম্যাচেও হেরেছেন তিনি। বয়স ৩৮ হওয়ায় আগের মতো আর শরীরও সায় দিচ্ছে না জকোভিচের। বারবার ছুটতে হয়েছে ফিজিওর কাছে। সবমিলিয়ে প্রাক্তন এক নম্বর তারকাও বুঝতে পারছেন সময়টা শেষ হয়ে আসছে তাঁর। যদি এই শেষ হয়, তাহলে  লাল সুরকির কোর্টে নতুন গ্র্যান্ড স্লাম অধরাই থাকল নোভাক জকোভিচের। উল্লেখ্য, জকোভিচ তাঁর ২৪তম গ্র্যান্ড স্লামটি জিতেছিলেন ২০২৩ সালে আমেরিকায়। ইউএস ওপেন জিতেছিলেন জকোভিচ। এরপর আর কোনও গ্র্যান্ড স্লাম জিততে পারেননি । গত বছর উইম্বলডনের ফাইনালে উঠলেও কার্লোস আলকারাজের কাছে হেরে যান। এরপর ২০২৪ সালে ফিলিপ শঁতিয়ে কোর্টেই অলিম্পিকে সোনা পেয়েছেন। তবে তাঁর ২৫তম গ্র্যান্ড স্লাম এখনও অধরাই থেকে গিয়েছে। ম্যাচের পর সিনার বলেন, ‘জকোভিচ দেখালো যে কেন আমাদের মতো সব তরুণ খেলোয়াড়দের কাছে ও আদর্শ। এই বয়সে ও যা করছে তাকে অসাধারণ বললেও কম বলা হয়। বাকি মরসুমের জন্য শুভেচ্ছা রইল। আমরা ভাগ্যবান যে এখনও জকোভিচকে এই উচ্চমানের টেনিস খেলতে দেখছি।’

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *