ম্যাঞ্চেস্টার সিটির অন্যতম মধ্যমণি কেভিন ডি ব্রুইনে ক্লাব ছাড়ছেন, জানালেন সমাজমাধ্যমে

এক দশক ধরে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির মধ্যমণি। বয়স ৩৩। এবার পেপ গুয়ার্দিওলার কালো ঘোড়া কেভিন ডি ব্রুইনে জানিয়ে দিলেন, চলতি মরসুম শেষেই সিটিকে বিদায় জানাবেন তিনি। এমনিতেই গুঞ্জন ছিল, ইতিহাদ ছাড়তে পারেন বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড। তাকে নিয়ে ক্লাবেরও তেমন আগ্রহ ছিল না। সব সত্যি করে ব্রুইনে সমাজ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে দিলেন। এক আবেগঘন বার্তায় বেলজিয়ান তারকা লেখেন, ‘প্রত্যেক গল্পেরই শেষ থাকে, কিন্তু এটা নিঃসন্দেহে আমার জীবনের সেরা অধ্যায়। ফুটবল আমাকে তোমাদের সবার কাছে এনেছে—এই শহরে এনেছে। আমি শুধু আমার স্বপ্নের পেছনে ছুটছিলাম, জানতাম না যে এই সময় আমার জীবন বদলে দেবে। এই শহর, এই ক্লাব।’ এরপর লেখেন, ‘আমরা চাই বা না চাই, বিদায়ের সময় এসে গেছে। আমি সরাসরি জানিয়ে দিচ্ছি, কয়েকটা মাস শেষে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি অধ্যায় শেষ হতে যাচ্ছে।’
ইতিহাদে ১০ বছরের ক্যারিয়ারে ডি ব্রুইনা নিজেকে ক্লাবটির ইতিহাসেই অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসেও অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার মনে করা হয় তাঁকে। ২০১৫ সালে উলফসবার্গ ছেড়ে ২৪ বছর বয়সে ম্যান সিটিতে যোগ দেন ডি ব্রুইনে। গত ১০ বছরে সিটির হয়ে ছয়টি প্রিমিয়ার লিগ, একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, দু’টি এফএ কাপ ও পাঁচটি লিগ কাপ জিতেছেন তিনি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সিটির হয়ে ৪১৩ ম্যাচে ডি ব্রুইনে করেছেন ১০৬ গোল, সাহায্য করেছেন ১৭৪ গোলে। সিটির হয়ে এই মরসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩১ ম্যাচ খেলেছেন ডি ব্রুইনে। গোল করেছেন ৪টি, করিয়েছেন আরও ৭টি। তাঁর উজ্জ্বল কেরিয়ারের তুলনায় যা সাদামাটাই। সিটি কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা বলেছেন, ‘ডি ব্রুইনে এই ক্লাব-পরিবারের অংশ। আমাদের একটা অংশ আমাদের ছেড়ে যাবে। এই দেশে খেলা ইতিহাসের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার সে, ম্যাঞ্চেস্টার সিটির তো অবশ্যই।’ কিন্তু কোথায় যাবেন ব্রুইনে। সে’কথা অবশ্য জানাননি।