আপুইয়ার বিশ্বমানের গোলে উচ্ছ্বাসে ভাসল সবুজ মেরুন, কাপ ফাইনালে মোহনবাগান

0

বিশ্বমানের গোল আপুইয়ার। স্নায়ুযুদ্ধের লড়াইয়ে একেবারে শেষমুহূর্তে উজ্জ্বল হয়ে উঠল ম্যাচের রঙ। প্রতিশোধ নেবেন কথা দিয়েছিলেন ম্যাকলারেন, পেত্রাতস, কামিন্সরা। ঘরের মাঠে সেই কথা রাখলেন  সবুজ মেরুন ফুটবলাররা।আইএসএল কাপ যুদ্ধের ফাইনালে মোহনবাগান। অতিরিক্ত সময়ে গোল করে জামশেদপুরের স্বপ্নভঙ্গ করে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। যুবভারতীতে খেলার ফল ২-০। সব মিলিয়ে ফলাফল ৩-২।
ম্যাচের শুরু থেকেই জেতার মরিয়া চেষ্টা শুরু হয় মোলিনা ব্রিগেডের। খেলা দেখে মনে হয় মোহনবাগান আক্রমণ বনাম জামশেদপুর রক্ষণের লড়াই শুধু।

তবু গোলমুখ যেন কিছুতেই খুলছিল না। মাঠে মোহনবাগানকে উৎসাহিত করতে কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে হাজির হন লখনউ সুপার জায়ান্টের অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। ইস্পাতনগরীর মাঠে ১-২ গোলে হারায় এই ম্যাচে ২-০ গোলে জিততেই হত মোহনবাগানকে। তবু প্রথমার্ধে খেলার ফল ছিল গোলশূন্য। ফলে চাপ বাড়ছিলই। এই ম্যাচে ৪-৪-১-১ ছকে দল সাজান সবুজ মেরুন কোচ হোসে মোলিনা।

অন্যদিকে ৪-৪-২ ছকে দলকে নামান জামশেদপুর এফসি কোচ খালিদ জামিল। এই ম্যাচে আপুইয়াকে প্রথম একাদশে রাখলেও মনবীর ছিলেন রিজার্ভ বেঞ্চে। আক্রমণভাগে জেমি ম্যাকলারেন এবং জেসন কামিন্সকে রেখেই শুরু করেন মোলিনা।  দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণের চাপ বাড়ায় সবুজ মেরুন শিবির। ৫০ মিনিটে বক্সের মধ্যে বল হাতে লাগিয়ে ফেলেন জামশেদপুর দলের প্রণয় হালদার। নায্য পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি কামিন্স। গোটা যুবভারতী গর্জে ওঠে। আশা বাড়ে ফাইনাল টিকিটের। এরপর লাগাতার আক্রমণ করতে থাকলেও গোল সংখ্যা বাড়াতে পারেনি সবুজ মেরুন। ম্যাচ যত শেষের দিকে যায়  উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। শেষবেলায় অতিরিক্ত সময়ে যখন ধরেই নেওয়া হচ্ছিল টাইব্রেকারে যেতে চলেছে ম্যাচ, তখনই আপুইয়ার বিশ্বমানের গোল।

প্রণয় হালদারের মিসপাস থেকে অনিরুদ্ধ থাপা বল বাড়িয়ে দেন বাগানের ডিফেন্সিভ মিডিওকে। সেখান থেকে জোরালো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। আবেগ উচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে দেয় যুবভারতী। ২-০ গোলে জেতে মোহনবাগান।   ১২ এপ্রিল কাপ যুদ্ধে বেঙ্গালুরু এফসির মুখোমুখি হবে মোহনবাগান। গতবার ফাইনালে উঠেও মুম্বইয়ের কাছে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। এবার আবার সুযোগ। সামনে সুনীলরা।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *