৫৪৬৮ দিন পর এমন দিন দেখল চেন্নাই সুপার কিংস, জিতে শীর্ষে দিল্লি

এমনও হয়? খেই হারিয়ে ফেলেছে যেন ‘ইয়েলো আর্মি’রা। যে চেন্নাই, সবচেয়ে বেশি ট্রফি জিতেছে, ক্রিকেটের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজ দলগুলোকে নিয়ে করা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিরও দুইবারের চ্যাম্পিয়ন, এমনকি সবচেয়ে বেশি প্লে-অফ খেলা দলও তারা। সেই চেন্নাই সুপার কিংস এবার দুর্দশা কাটিয়ে উঠতেই পারছে না। চার ম্যাচের মধ্যেই তিন হার। একেবারে হারের হ্যাটট্রিক। অন্যদিকে দিল্লি ক্যাপিটালসে এবার উলোটপুরান। তিন ম্যাচের মধ্যে তিন ম্যাচ জিতে একেবারে মগডালে।
চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান সংগ্রহ করে দিল্লি ক্যাপিটালস। জবাব দিতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান সংগ্রহ করে চেন্নাই সুপার কিংস। শেষ পর্যন্ত দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে ২৫ রানে হার মানতে বাধ্য হয় চেন্নাই সুপার কিংস। এই মাঠে দিল্লির কাছে এটা তাদের তৃতীয় হার। আর সেটাও এসেছে ৫ হাজার ৪৬৮ দিন পর। শেষ যেবার দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজি চিদাম্বরমে জয় পেয়েছিল, সেটা ছিল ২০১০ সালের ১৫ এপ্রিল। ক্যালেন্ডারের পাতা হিসেব করলে ১৪ বছর ১১ মাস ও ২০ দিন পর দিল্লি জয় পেল চেন্নাইয়ের মাঠে। মজার ব্যাপার ২০১০ সালে দিল্লির ফ্র্যাঞ্চাইজি মাঠে নেমেছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস নামে। যার অর্থ, নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে এবারই প্রথম চিপকে জয় পেয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। এর আগে চলতি আসরেই ৬ হাজার ১৫৪ দিনের বিরতিতে ঘরের মাঠে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে হেরেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। এদিন শুরুতেই কেএল রাহুলের ঝড়ের মুখে পড়ে চেন্নাই। ৫১ বলে করেছেন ৭৭ রান। তাতেই যেন জয়ের ভিত গড়া হয়ে যায়।অভিষেক পোড়েলের ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান। পরে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খুইয়েছে চেন্নাই। দলীয় ৭৫ রান পেরুনোর আগেই সাজঘরে ফেরেন ৫ ব্যাটার। এরপর লড়াই শুরু করেন বিজয় শঙ্কর এবং মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাতে অবশ্য জয়ের বন্দরে পৌঁছনো হয়নি। ৫৪ বলে ৬৯ রান করেন বিজয় শঙ্কর। অন্যদিকে ২৬ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।