নারিনের ব্যাট-বলের দাপটে চেন্নাইকে নিয়ে ছেলেখেলা কেকেআরের

হাল ফেরাতে পারলেন না ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিং ধোনিও। বরং লজ্জা বাড়ালেন। ঘরের মাঠে অল্পের জন্য হেরে গেলেও, অ্যাওয়ে ম্যাচে ইয়েলো আর্মিদের বিশালভাবে হারিয়ে জয়ে ফিরল কলকাতা নাইট রাইডার্স। টানা পাঁচ ম্যাচে হারের মুখ দেখল চেন্নাই সুপার কিংস। ঘরের মাঠে টানা তিন হার। এদিন প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১০৩ রানে গুটিয়ে যায় চেন্নাই। যা তাদের কেকেআরের বিরুদ্ধে দলগত সর্বনিম্ন স্কোর। চিপকেও। টি২০-তে এটি চেন্নাই সুপার কিংসের তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। জবাবে ৫৯ বল হাতে রেখেই ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় নাইটরা। ৮ উইকেটের এই জয়ে লিগ টেবিলে ৩ নম্বরে উঠে এল শাহরুখের দল। চেন্নাইয়ের হয়ে শিবম দুবে সর্বাধিক ২৯ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন।

বিজয় শঙ্কর দুবার জীবন পেয়েও ২১ বলে ২৯-এর বেশি করতে পারেননি। রাহুল ত্রিপাঠী ২২ বলে ১৬ ও ডেভন কনওয়ে ১১ বলে ১২ রান করেন। বাকিদের মধ্যে রাচিন রবীন্দ্র ৪, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ১, রবীন্দ্র জাদেজা শূন্য, ইমপ্যাক্ট সাব দীপক হুডা শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন। নয়ে নেমে সিএসকে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ৪ বলে ১ রান করেন। মন্থর পিচের ফায়দা তুলে সুনীল নারিন ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন। বরুণ চক্রবর্তী, হর্ষিত রানা ২টি করে উইকেট নেন। চেন্নাই সুপার কিংসের ব্যাটাররা ৮টি চার ও ১টি ছয় মেরেছেন। কেকেআরের স্পিনাররা মোট ১২ ওভার বল করেছেন, ১টি মেডেন, ৫৫ রানের বিনিময়ে তুলে নিয়েছেন ৬ উইকেট।

জবাবে খেলতে নেমে অবশ্য সহজ টার্গেটে কোনও জড়তা ছিল না কেকেআর ব্যাটারদের। ৪.১ ওভারে ৪৬ রানের মাথায় ভাঙে ওপেনিং জুটি। কুইন্টন ডি কক তিনটি ছয়ের সাহায্যে ১৬ বলে ২৩ রান করে ফেরেন। এরপর দলকে জয়ের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন নারিন ও ক্যাপ্টেন অজিঙ্ক রাহানে। নারিন ফেরেন ১৮ বলে ৪৪ রান করে। এরমধ্যে ২ চার ও ৫ ছক্কা। রিঙ্কু সিং এরপর নামেন। রিঙ্কু-রাহানে জুটিতেই আসে জয়। রাহানে ১৭ বলে ২২ করে অপরাজিত ছিলেন। রিঙ্কু অপরাজিত ছিলেন ১২ বলে ১৫ করে। ১০.১ ওভারেই এসে যায় জয়।