হার্দিকের অনন্য কীর্তি – সূর্যের ঝড় ম্লান, লখনউয়ের কাছে হার মুম্বইয়ের

হার্দিকের অনন্য কীর্তি। সূর্যের ঝড়। তবু জয়ের মুখ দেখা হল না মুম্বইয়ের। অন্যদিকে পন্থের ব্যর্থতার পরও স্বস্তির জয় পেল লখনউ সুপার জায়ান্টস। লখনউয়ের সুপার জায়ান্টসের ২০৩ রানের জবাবে মুম্বইয়ের ইনিংস থামল ১৯১ রানে। ১২ রানে জিতে দ্বিতীয়বার জয়ের মুখ দেখল লখনউ। অন্যদিকে এবারের আইপিএলে চার ম্যাচে এটি মুম্বইয়ের তৃতীয় হার।

এই ম্যাচে চোটের জন্য লখনউয়ের বিরুদ্ধে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবেও খেলতে পারেননি রোহিত শর্মা। জসপ্রীত বুমরাহও এখনও দলের সঙ্গে যোগ দেননি। তবু নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টার কসুর করেননি হার্দিক। মুম্বই অধিনায়ক তাঁর টি২০ কেরিয়ারে সেরা বোলিং করেছেন। যদিও তাতে লখনউয়ের ২০০ রান করা আটকানো যায়নি। নিজের কেরিয়ারে ৩৬ রানের বিনিময়ে আইপিএলে প্রথমবার পাঁচ উইকেট নেন হার্দিক। তাতে আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ক্যাপ্টেন হিসেবে পাঁচ উইকেট নেওয়ার নজিরও গড়েন।লখনউ শুরুতে মিচেল মার্শ (৩১ বলে ৬০) ও এডেন মারক্রামের ( ৩৮ বলে ৫৩) দুরন্ত পার্টনারশিপেই বড় ইনিংসের ভিত গড়ে দেয়। নিকোলাস পুরান (১২) এবং পন্থ (২) দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরলেও আয়ুশ বাদোনি (৩০) এবং ডেভিড মিলার (২৭) এগিয়ে দেন।

আইপিএলের চার ম্যাচে লখনউয়ের জার্সিতে পন্থের রান যথাক্রমে ০, ১৫, ২, ২। জবাবে তিন ওভারের মধ্যে দুই ওপেনার উইল জ্যাকস ও রায়ান রিকেলটনকে হারায় মুম্বই। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ৩৫ বলে নামান ধির ও সূর্যকুমারের ৬৯ রান আর চতুর্থ উইকেটে সূর্যকুমার ও তিলক বার্মার ৪৮ বলে ৬৬ রানের জুটিতে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে মুম্বইকররা। কিন্তু জয় থেকে ৫২ রান দূরে সূর্যকুমার আউট হয়ে গেলে সে আশা সেখানেই নিভতে শুরু করে। তিলক ও হার্দিক যথাসাধ্য চেষ্টা করেও পারেননি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য মুম্বইয়ের প্রয়োজন ছিল ২২ রান। তা তুলতে পারেননি হার্দিকরা। সূর্যকুমার ৪৩ বলে ৯ চার ও এক ছয়ে করেছেন ৬৭ রান। তিলক ২৩ বলে ২৫ রান করে অবসৃত হন। হার্দিক ১৬ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন। লখনউয়ের হয়ে শার্দুল ঠাকুর, আকাশ দীপ, আবেশ খান ও ডিগবেশ রাঠি নেন একটি করে উইকেট। এই জয়ে লখনউ ৬ নম্বরে ও মুম্বই ৭ নম্বরে রইল। লখনউয়ের পরের ম্যাচ কেকেআরের সঙ্গে। আগামী ৮ তারিখ কেকেআরের মুখোমুখি হবে পন্থের লখনউ।